পাঁচ বছরের নাতনিকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল দাদুর বিরুদ্ধে। ঘটনা নবদ্বীপ থানা এলাকার। মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত দাদুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে মত্ত অবস্থায় এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন ওই ব্যক্তি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বাবার কাছে ৫ বছরের মেয়েকে রেখে বেরিয়েছিলেন মহিলা। তখন বাড়িতে আর কেউ ছিল না। ফিরে দেখেন মেয়ে কাতরাচ্ছে। তার পায়ে রক্ত লেগে রয়েছে। এর পর শিশুটিকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। বাবার বিরুদ্ধে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিলা। ঘটনার পর বেপাত্তা হয়ে যান বৃদ্ধ। রাতে সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে তাঁকে গ্রেফতার করেন পুলিশ আধিকারিকরা।
কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার অমরনাথ কে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। পকসো আইনের ধারায় মামলা রুজু করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় হঠাৎ শিশুটির চিৎকার শুনতে পান তাঁরা। ছুটে গিয়ে দেখেন শিশুটি রক্তাক্ত অবস্থায় কাঁদছে। তখন তার দাদু একাই ঘরে ছিলেন। মত্ত অবস্থায় ছিলেন তিনি।
শিশুটির মা জানিয়েছেন, ‘সন্ধ্যায় মেয়েকে বাবার কাছে রেখে বেরিয়েছিলাম। বাবা মাঝে মাঝে মদ খেত। তাই বলে এরকম কাণ্ড ঘটাবে কখনও ভাবিনি। ওকে বাবা বলতে ঘেন্না করছে। আমি বাবার চরম শাস্তি চাই।’
এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বৃদ্ধের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন স্থানীয়রাও।