হাওড়ার জগাছায় নাবালিকা মেয়ের সামনে স্বামী ও ছেলের হাতে গৃহবধূর খুনের ঘটনায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। নিহত সুলেখা জয়সওয়ালের অভিযুক্ত স্বামী জিতেন্দ্র জানিয়েছেন, পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ায় তিনি ও ছেলে মিলে খুন করেছেন স্ত্রীকে। এই ঘটনায় সম্মান রক্ষায় মৃত্যুর তত্ত্ব উঠে আসছে। ওদিকে সুলেখাদেবীর খুনের জিতেন্দ্রবাবুকে পুলিশ গ্রেফতার করায় কার্যত অনাথ হয়ে গিয়েছে তাদের নাবালিকা মেয়েটি।জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে জগাছার ইছাপুরের বাসিন্দা সুলেখা জয়সওয়ালের নাবালিকা কন্যার চিৎকার শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তাঁরা দেখেন, ঘরের মধ্যে পড়ে রয়েছে সুলেখাদেবীর নিথর দেহ। মায়ের দেহ জড়িয়ে ধরে কাঁদছে নাবালিকা মেয়ে। হাত, পা ঝাঁকিয়ে তাঁর জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করে চলেছে সে। ঘরের এক পাশে দাঁড়িয়ে সুলেখাদেবীর স্বামী জিতেন্দ্র ও তাঁর ছেলে শেখর। নাবালিকা জানায়, বাবা ও দাদা মিলে মাকে মেরে ফেলেছে। মায়ের দু হাত চেপে ধরেছিল বাবা। আর দাদা মাকে গলা টিপে মেরে ফেলে।এই ঘটনায় অপরাধ কবুল করে ধৃত জিতেন্দ্র জয়সওয়াল জানিয়েছেন, সুলেখাদেবী একটি সংস্থায় কাজ করতেন। সেই সংস্থার ম্যানেজারের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তাঁর। দুজনে একসঙ্গে বেড়াতে যেতেন। স্কুটারে করে ঘুরে বেড়াতেন। বার বার বারণ করার পরেও ওই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেননি সুলেখাদেবী। এই নিয়ে পরিবারে চরম অশান্তি লেগেছিল। পরিবারের সম্মানহানি হচ্ছিল সমাজে। তাই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে সুলেখা দেবীকে চুপিসাড়ে খুন করার পরিকল্পনা করেন জিতেন্দ্র। কিন্তু তাঁদের নাবালিকা মেয়ে গোটা ঘটনা দেখে ফেলে।