আগেই বলেছিল হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। হাওড়ার ঘোষপাড়ায় হুগলির চণ্ডীতলা থানার ওসির গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানে উঠে এল সেই তথ্যই। জানা গিয়েছে, বান্ধবীর সঙ্গে বচসা চলাকালীন নিজেই নিজের হাতে গুলি চালিয়েছেন চণ্ডীতলা থানার অপসারিত ওসি জয়ন্ত পাল। তবে সার্ভিস রিভলভার নয়। বেআইনি দেশি বন্দুক থেকে গুলি চালিয়েছিলেন তিনি। সেই বন্দুকও উদ্ধার করেছে শিবপুর থানার পুলিশ।
বুধবার রাতে গুলিবিদ্ধ হন জয়ন্তবাবু। বৃহস্পতিবার সকালে সেখবর প্রকাশ্যে আসার পর প্রথম হিন্দুস্তান টাইমসই জানিয়েছিল, সম্ভবত নিজেকে নিয়েই গুলি করেছেন ওসি জয়ন্ত পাল। যদিও পুলিশের জেরায় তিনি বলেন, তাঁকে লক্ষ্য করে কেউ গুলি চালিয়েছে। কিন্তু তাঁর বান্ধবী টিনা দাম ও গাড়িতে থাকা অন্য প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানে জানা গিয়েছে, বান্ধবীর সঙ্গে বচসা চলাকালীন নিজের হাতে অন্য হাত দিয়ে গুলি চালিয়েছেন জয়ন্তবাবু। যে রিভলভার দিয়ে গুলি চালিয়েছেন সেটি একটি বেআইনি দেশি পিস্তল। ঘটনাস্থল থেকে ৫০০ মিটার দূরে একটি ভ্যাট থেকে পিস্তলটি উদ্ধার করেছে শিবপুর থানার পুলিশ।
ওদিকে জয়ন্ত পালের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্ত। ঘটনায় তথ্য সংগ্রহ করতে শুক্রবার চণ্ডীতলা থানায় যায় হুগলির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃষাণু রায়ের নেতৃত্বাধীন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। জানা গিয়েছে, বিভাগীয় তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে জয়ন্তবাবুর বিরুদ্ধে।
ওদিকে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরে যে বেসরকারি হাসপাতালে জয়ন্ত রায়কে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেখানেও মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময় সঙ্গে থাকা ব্যক্তিদের পুলিশকর্মী বলে দাবি করেছিলেন জয়ন্তবাবু। যদিও তাঁরা ছিলেন জয়ন্তবাবুর বান্ধবী টিনা দামের বন্ধু। ওদিকে একজন ওসি বেআইনি দেশি পিস্তল নিয়ে কেন ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন সেই প্রশ্নও উঠছে।